কেন্দ্রীয় নির্দেশনা উপেক্ষা করায় লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানা আ.লীগের সভাপতি আবুল কাশেম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওহাবকে কারণ দর্শানো নোটিশ (শোকজ) দেয়া হয়েছে। গত রোববার রাতে আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন স্বাক্ষরিত শোকজের চিঠিটি পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, গত ৬ মার্চ চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন হাজিরপাড়া ইউনিয়ন আ.লীগের নতুন আহ্বায়ক কমিটি দেয়া হয়। চন্দ্রগঞ্জ থানা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত ওই কমিটি ফেসবুকে প্রকাশ করা হয়েছিল। যদিও কেন্দ্রীয় অনুমতি ছাড়া কোন কমিটি বিলুপ্ত ও নতুন করে কমিটি না দিতে নির্দেশনা রয়েছে। এরপরও কাশেম চৌধুরী ও আব্দুল ওহাব হাজিরপাড়া ইউনিয়ন আ.লীগের কমিটি দিয়ে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা উপেক্ষা করেছেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ৬ মার্চ মেয়াদোত্তীর্ণ দেখিয়ে একই চিঠিতে পুরোনো কমিটি বিলুপ্ত ও ৫১ সদস্য বিশিষ্ট নতুন আহ্বায়ক কমিটি দেয়া হয়।
এ ঘটনায় ২৪ এপ্রিল বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানি ভুঁইয়া কেন্দ্রীয় আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপির বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। একই অভিযোগের অনুলিপি যুগ্ম সাধারণ মাহবুবুল আলম হানিফ এমপি ও সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনকেও দেয়া হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আ.লীগ নেতা কাশেম চৌধুরী ও আব্দুল ওহাবকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেয়া হয়েছে।
শোকজ চিঠিতে লক্ষ্মীপুর জেলা কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে অবহিত করে আ.লীগ নেতা আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত ছাড়া কোন কমিটি ভাঙার এখতিয়ার কারো নেই। কেন্দ্রীয় কমিটি ব্যতিরেকে কোন পর্যায়ের কমিটি ভাঙা যাবে না। এরপরও কেন দলের আদেশ অমান্য করে কমিটি ভেঙে দেয়া হয়েছে?
বিষয়টি আদেশ দাতাকে কারণ দর্শানোর জন্য অনুরোধ করা হল। একইসঙ্গে সম্মেলন ছাড়া কোন ধরনের কমিটি না ভাঙার জন্য জানানো হল। এটি চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন দত্তপাড়া ও হাজিরপাড়া ইউনিয়নের জন্য প্রযোজ্য।
রাতে জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন থানা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে শোকজের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় চিঠির বিষয়টি অবগত হয়েছি। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী সম্মেলন ছাড়া কোন কমিটি ঘোষণা করার সুযোগ নেই। সে হিসেবে হাজিরপাড়া ইউনিয়ন আ.লীগের পূর্বের কমিটি বহাল থাকবে।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে শোকজপ্রাপ্ত চন্দ্রগঞ্জ থানা আ.লীগের সভাপতি আবুল কাশেমের মোবাইলফোনে কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
তবে কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওহাব বলেন, আমরা হাজিরপাড়া ইউনিয়ন আ.লীগের নতুন আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দিয়েছি। শোকজের বিষয়টি আমাদের জানা নেই। কেন্দ্র থেকে কোন চিঠি দিয়েছে কি না তাও পাইনি।
বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানি ভুঁইয়া বলেন, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চন্দ্রগঞ্জ থানা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আমাদের কমিটি ভাঙতে পারেন না। এজন্য আমি কেন্দ্রে অভিযোগ দিয়েছি।
টিএইচ